বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শনিবার নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ এবং রমজানে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে। তিনি বিপণিবিতানগুলোকে রমজানে অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়ে একটি সঞ্চালন টাওয়ার ভেঙে পড়ায় দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে তাতে কোনো বিশেষ সমস্যা সৃষ্টি হবে না। বিকল্প ব্যবস্থায় সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে রমজানে সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় পানির পাম্প, ইস্তিরি, কলকারখানা প্রভৃতি ভারী যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়, পিডিবি, পাওয়ার সেল ও বিভিন্ন বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ ৩৬০ মেগাওয়াট এবং মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র দুটিতে গতকাল উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফলে গতকালই সান্ধ্যকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় নয় হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আজ শুক্রবারের মধ্যে আশুগঞ্জ ও মেঘনাঘাট কেন্দ্র দুটি পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারবে। সামিটের বিবিয়ানা ৩৪১ মেগাওয়াট কেন্দ্রটিতেও আজ শুক্রবার উৎপাদন শুরু হবে।