কিছু চেনা মুখ। কিছু অচেনা। ক্যাসল অ্যাভিনিউতে আজকের নিউজিল্যান্ডের একাদশটা এমনই। মিচেল স্যান্টনার ও জিমি নিশামই হয়তো কোনো প্রশ্ন ছাড়া মূল দলে বোলিংয়ের সুযোগ পাবেন। কতটা অনভিজ্ঞ এই নিউজিল্যান্ড দল সেটা বোঝাতে একটি তথ্যই যথেষ্ট। ওয়ানডেতে মাশরাফির উইকেট সংখ্যা নিউজিল্যান্ডের এই দলের সবার উইকেটের যোগফলে দ্বিগুণ।
নিউজিল্যান্ডের ১১ জনের মোট উইকেট ১১৩। মাশরাফির একার ২২৫। অঙ্কটা প্রায় টায়ে মিলে যায়। অবশ্য এই একাদশের ৫ জনের নামের পাশে কোনো উইকেট নেই, তারা পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ডার পরিচয় ছেড়ে কলিন মানরোও ইদানীং ব্যাটসম্যান হয়ে উঠছেন। স্যান্টনার ও নিশাম ছাড়া আজ নিউজিল্যান্ড দলে বোলার হিসেবে আছেন ইশ সোধি, সেথ র্যানস ও হামিশ বেনেট।
মানরোকে নিয়ে এই ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে এই ছয়জনের মোট উইকেট সংখ্যা ছিল ১১৩। পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে নেমে এমন অনভিজ্ঞ বোলিংয়ের সামনে পড়ার সৌভাগ্য খুব কমই হয় বাংলাদেশের। এক মাশরাফির চেয়ে প্রতিপক্ষের মোট উইকেট কিনা অর্ধেক!
আইপিএলের কারণে এই সিরিজের স্কোয়াডে তারকা খেলোয়াড়দের অনেককেই রাখতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাকক্লেনাহান, কোরি অ্যান্ডারসনরা এই স্কোয়াডে থাকলে হিসাবটা অন্য রকম হতো। তাঁদের অনুপস্থিতির কারণেই র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো বোলারের এমন এগিয়ে থাকার ঘটনা একদিনের জন্য হলেও দেখা গেল!
এমন অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপের সুবিধা বাংলাদেশ কতটা তুলতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, সুবিধা নেওয়ার খুব একটা ইঙ্গিত মেলেনি। বরং চাপে বাংলাদেশই। ১৩৫ রান তুলতে পড়ে গেছে ৪ উইকেট।
[…] […]