বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর যত বাজে ধরণের উদ্ভট ঘটনা আছে, তার বেশিরভাগই ঘটে ভারতে। কথাটা মিথ্যে নয়, তা প্রমাণ এবারও এল। মনের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কতটা খাঁটি, তা প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের জীবন বাজি ধরলো ভারতের এক কিশোরী। এইচআইভি আক্রান্ত প্রেমিকের রক্ত নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়েছে ১৫ বছরের মেয়েটি। সম্প্রতি আসামের সুয়ালকুচি জেলার এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে দেশটিতে।
ভালোবাসার নিদর্শন দেখাতে পাগলামী করার ঘটনা এই প্রথম নয়। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসা থেকে তৈরি করেছিলেন তাজমহল। যেটা কিনা পুরো বিশ্ববাসীর কাছে ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে থাকবে। এর বাইরেও ভালোবাসার জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়া তো নিত্যনমিত্তিক ব্যাপার!
তবে এতকিছু ছাপিয়ে, এইডস রোগ নিজের শরীরে নেয়ার মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের চাঞ্চল্যকর ঘটনা কিন্তু এবারই প্রথম। এতে হতবাক যে শুধু ভারতীয় লোকজন হয়েছে, তা কিন্তু নয়। সকলেই এমন ঘটনাতে হতবম্ব। ভালোবাসার জন্য মানুষ নিজের শরীরে এইডস রোগ গ্রহণ করে? কিশোরীর দাবি, ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রেমিকের এইচআইভি আক্রান্ত রক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়েছে সে। এ ঘটনায় মেয়েটির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। সে যে কাজ করেছে, তাতে প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: গুইসাপকে গণধর্ষণ ভারতীয় ৩ যুবকের
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, আসামের হাজো শহরের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ওই কিশোরীর। প্রেমিক এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত জেনেও পিছপা হয়নি সে। তাদের মধ্যে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এমনকি প্রেমের টানে একাধিকবার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল মেয়েটি। পরে তাকে ফিরিয়ে আনে পরিবার।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রেমিককে। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে ওই কিশোরীর। তাকে বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য সেন্টিনেল আসাম
ব্যবসা, অর্থনীতি ও সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে ভিজিট: উল্কা ফিন্যান্স