বহুল বিতর্কিত ও আলোচিত সেই প্রতিশ্রুতির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুসলিম দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের নিষিদ্ধ করবেন। মেক্সিকো সীমান্তে নির্মাণ করবেন দেয়াল। আজ বুধবার কোনো এক সময় তিনি এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশে সই করতে পারেন। এমন খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, এ আদেশের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার শরণার্থী ও মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে। এমন মুসলিম দেশের মধ্যে রয়েছে ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। এসব দেশের কোনো শরণার্থী, ভিসা পাওয়া ব্যক্তিদেরও এর আওতায় আনা হতে পারে। এমন তথ্য কংগ্রেসের সূত্র জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হোম সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে যতক্ষণ এ বিষয়ে কড়াকড়ি প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে ততক্ষণ সব দেশ দেশে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী যাওয়ার ওপর অনেক মাস (মাল্টি-মান্থ) নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের কথা মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর এর নিন্দা জানিয়েছেন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-এর জাতীয় নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ। তিনি মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, এসব নির্বাহী আদেশ আমাদের জাতিকে (মার্কিন) নিরাপদ করবে না। উল্টো তাতে আরও আতঙ্ক বাড়বে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে নির্বাহী আদেশেও সই করতে পারেন আজ। প্রশাসনিক দু’জন কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন বার্তা সংস্থা এপিকে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার সময় অনেকবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি কঠোর করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। এর আওতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা। এ ছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে যে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন, তাতে ওই দেয়াল নির্মাণের ব্যয় মেক্সিকোকেই বহন করতে বলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের খরচ বহন করতে রাজি হয়েছেন নিয়েতো। কিন্তু পেনা নিয়েতো এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
মুসলিম প্রবেশ নিষেধাজ্ঞায় সই করছেন ট্রাম্প
আরো পড়ুন