এখন থেকে সৌদি আরবে নারীরাও ফতওয়া জারি করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে দেশটির শুরা কাউন্সিল। নারীদের ফতোয়া জারির ব্যাপারটি শুরা কাউন্সিলে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। দুই দিন আগেই সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিল শুরা কাউন্সিল।
আরো পড়ুন: ১৫ হাজার লাইনের কবিতায় রাসূলের জীবনী লিখলেন ভারতীয় নারী আসিয়া
গত শুক্রবার আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নারীদের ফতোয়া জারি-সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে শুরা কাউন্সিলে ভোটাভুটি হয়। এতে পক্ষে ১০৭টি ভোট পড়ে। এর আগে ৪৫ বছর ধরে ফতোয়া জারির বিষয়টি কেবল পুরুষদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
সৌদি আরবে রাজকীয় নির্দেশবলে নারী মুফতি নিয়োগ করা হবে।
শুরা কাউন্সিলের নারী সদস্যরা গত মার্চে দাবি করেন, ফতোয়া জারির বিষয়টি কেবল পুরুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়। পরে কাউন্সিলের ৪৯তম বৈঠক এই সংক্রান্ত সুপারিশ করেন এক সদস্য। পরে তা পাস হয়। জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা সৌদি আরবে ফতোয়া জারির জন্য একমাত্র অনুমোদিত সরকারি সংস্থা। শুরা কাউন্সিল এই সংস্থাকে আহ্বান জানিয়েছে নারীদের জন্য স্বাধীন শাখা খোলার জন্য।
কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে একদমই পছন্দ করে নি শরিয়া আইনবিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বিভিন্ন আলিম সমাজও এর বিরোধিতা করে। এমনকি দেশটির অধিকাংশ জনগণও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে নি।
সৌদি আরবের এসব সিদ্ধান্তে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখছেন অনেকে। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় দেশটি এখন অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এখন নানা ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে তাঁর দেশকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। শুরা কাউন্সিলে নারীদের ফতোয়া জারির অধিকার প্রদানকে সেই লক্ষ্যেই আরেকটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সৌদি আরবের যে রক্ষণশীল ভাবমূর্তি, এসব সিদ্ধান্তের ফলে সেই ভাবমূর্তি অনেকখানি কাটিয়ে তোলা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনলাইনে কুরআন, হাদিস, ইসলামিক লেখা, প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি পড়ুন বাংলাতেই! ভিজিট: উল্কা ইসলাম