২০১৬ সালে কোন পাসওয়ার্ডটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে? নিশ্চই অনেকেই ধারণা করে বলে দিতে পারবেন সেটা। সবচেয়ে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডটি হচ্ছে ‘123456’। গত বছরেও সবচেয়ে বাজে পাসওয়ার্ডের তালিকায় ছিল ‘password’ ও ‘123456’। এ বছরে সবচেয়ে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের তালিকায় আরও স্থান পেয়েছে ‘123456789’ ও ‘qwerty’। ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়া প্রায় এক কোটি পাসওয়ার্ড থেকে বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান কিপার সিকিউরিটি।
বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি পাসওয়ার্ডের মধ্যে চারটিতে ছয় অক্ষর বা তার চেয়েও কম অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। ওই তালিকায় স্থান পাওয়া পাসওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে—‘12345678’, ‘111111’, ‘1234567890’, ‘1234567’, ‘password’, ‘123123’, ‘987654321’। যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এখনকার শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ভাঙার সফটওয়্যারগুলোর কাছে এসব দুর্বল পাসওয়ার্ড ভাঙা মাত্র ১ সেকেন্ডের ব্যাপার। যেসব ওয়েবসাইট পরিচালক এ ধরনের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনুমোদন দেন তাঁরা হয় দায়িত্বজ্ঞানহীন নতুবা অলস। প্রায় ১৭ শতাংশ ব্যবহারকারী তাঁদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা হিসেবে ‘123456’ এই পাসওয়ার্ড দেন। অনেক ওয়েবসাইট পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়মনীতির ধার ধারে না।
অবশ্য ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, সচরাচর ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের তালিকায় গত কয়েক বছরে খুব সামান্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর জানাশোনার ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ব্যবহারকারীর এই ঝুঁকির বিষয়টি জানার দরকার। কিন্তু অনেকেই পাসওয়ার্ড বদলানোর প্রয়োজন মনে করেন না। তাঁদের জন্য অ্যাডমিন ও ওয়েবসাইট পরিচালনাকারীদেরকে এই দায়িত্ব অবশ্যই নেয়া উচিত।
এ ছাড়া কিছু ব্যবহারকারীকে ‘1q2w3e4r’ ও ‘123qwe’ এর মতো ভিন্ন ধারার কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কিন্তু তা মূলত দুর্বল প্রচেষ্টা। ডিকশনারি বা অভিধানভিত্তিক পাসওয়ার্ড ভাঙার সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ধরনের পাসওয়ার্ডও অত্যন্ত সহজে ভাঙা সম্ভব। তাই আমাদের অনলাইন একাউন্টের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রত্যেককেই মাথায় রেখে জটিল ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নতুবা নিরাপত্তা একদমই অসম্ভব।